নরম মাটি ভবনের ভার সহ্য করতে পারে না:
ছবিতে দেখা যাচ্ছে ভবনের নিচে যদি কাদামাটি বা দুর্বল মাটি থাকে, তাহলে ভবনটি একদিকে হেলে পড়ে। কারণ, এই মাটি ভবনের ওজন ঠিকভাবে সহ্য করতে পারে না।
ভবনের স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায়:
ভবন যদি শক্ত মাটির (যেমন: পাথুরে মাটি) উপর না থাকে, তাহলে এটি সময়ের সাথে বসে যেতে পারে বা হেলে যেতে পারে। গভীর ফাউন্ডেশন ভবনের পাইলকে শক্ত মাটির স্তরে পৌঁছে দেয়, ফলে ভবন দীর্ঘস্থায়ী ও নিরাপদ হয়।
ভবনের ভার নিচের শক্ত স্তরে সরাসরি পৌঁছায়:
গভীর ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ভবনের ওজন নিচের শক্ত স্তর (যেমন: rocky soil) এ স্থানান্তর করা হয়, যাতে ভবনের ওপর কোনো অতিরিক্ত চাপ পড়ে না।
প্রাকৃতিক দুর্যোগেও টিকে থাকার সক্ষমতা:
শক্ত ভিত্তিতে তৈরি ভবন ভূমিকম্প বা ভূমিধসের সময়ও তুলনামূলক বেশি নিরাপদ থাকে।
গভীর ফাউন্ডেশন ভবনের নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে যদি উপরের মাটির স্তর নরম হয়, তাহলে গভীর ফাউন্ডেশন ছাড়া ভবন হেলে পড়া বা ধসে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
🔧 তাই প্রকৌশলগতভাবে গভীর ফাউন্ডেশন বড় এবং ভারী ভবনের জন্য অপরিহার্য।